মুঠোফোন বন্ধ রেখে কোলাহলহীন একদম শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে এই চুপি চর।এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ জলাভূমি। গঙ্গার অংশ। এক সময় এই এলাকার উপর দিয়ে বইতো গঙ্গার মূল স্রোত। গঙ্গা এখন কিছুটা সরে গিয়েছে। তবে থেকে গিয়েছে এই জলাভূমি। এক মানুষ বা তার বেশি জল থাকে সব সময়ই। তাতেই চলে নৌকো বিহার। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ চোখ জুড়নো পরিযায়ী পাখিরা।নদিয়া জেলার সীমানা লাগোয়া পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এই চুপি চর। প্রায় ১১ কিমি দীর্ঘ এই জলাশয়। তার বুকে ভেসে বেড়ায় নানা পরিযায়ী পাখির দল।
যেমন তাদের মন মাতানো রং, তেমনই রূপ। এমনিতে শীত কালে এখানে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে এই পাখিরা। অনেক পাখি সারা বছর থেকেও যায়।লেসার হুইসলিং ডাক, কমন স্নাইম, লিটল গ্রিব, ব্ল্যাক সোল্ডারড কাইট, বার্ন সোয়ালো, ব্ল্যাক হেডেড আইবিস-সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির পরিযায়ীর দেখা মেলে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। পাখিদের আনাগোনার পাশাপাশি অনেক দূর পর্যন্ত শান্ত প্রকৃতির স্নিগ্ধতা উপভোগ করা যায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে।চুপি চরে আপনার জলবিহারের জন্য সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেক নৌকা। ঘণ্টা চুক্তিতে ভাড়া করুন।
মাঝি ভাইরাই আপনাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিযায়ীর পাখি দেখাবেন। কোন পাখির কী নাম তা জানাবেন। তাদের কাছে আছে বাইনোকুলার। তাতে চোখ রেখে পাখি দেখুন কাছ থেকে। ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারেন গ্রামীণ এলাকার পুজো। আড়ম্বরে খামতি থাকলেও নিষ্ঠা আন্তরিকতার কোনও অভাব পাবেন না।কলকাতা থেকে চুপির চরের দূরত্ব ১২০ কিমি। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে পূর্বস্থলী স্টেশনে নেমে টোটোয় চেপে চলে আসা যায় চুপি চরে। চারচাকায় ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে নবদ্বীপ হয়ে পারুলিয়া মোড় হয়ে পূর্বস্থলী চলে আসতে প�