বর্ধমান, ৩০ জুলাই : টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমান শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ড । বেশ কিছু রাস্তা জলের তলায় । স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে নিত্য যাত্রীরা ।
বর্ধমানবাসীর এ যন্ত্রণা বামফ্রন্টের আমল থেকেই । বহু বার পৌরসভার কাছে সাধারণ মানুষ নিকাশি ব্যবস্থা আরও সুন্দর করার অনুরোধ জানিয়েছেন । কিন্তু একটু বেশি বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়তে হয় বর্ধমানবাসীকে ।
শহরে ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে । কলেজ মোড় থেকে হসপিটাল যাবার এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করে । কিন্তু টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন এই রাস্তা ।
বৃষ্টির কারণে চিন্তিত ব্যবসায়ীরাও । একে তো করোনা, তারপর উপর বৃষ্টি যেন ব্যবসায়ীদের কাছে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ চাপিয়ে রেখেছে । বৃষ্টিতে দেখা নেই কোনও ক্রেতার । স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে ।
অন্যদিকে, এদিন ১১, ১২, ১৭, ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলার যুব তৃণমূল-কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার বৃষ্টির জলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন । যে সমস্ত বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি বেশি সেখানে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি । এদিন রাসবিহারী হালদারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শুভায়ু সাহা, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লব দাস সহ আরও অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা ।
বর্ধমান শহরে বাঁকা নদীর দুই ধারে যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে অধিকাংশ বাড়িই জলমগ্ন । বেশকিছু এলাকাতে বৃষ্টির জল জমে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । যুব তৃণমূল-কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন । ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৃষ্টির জলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে । তাঁদের খাওয়ার ও বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দুবরাজ দীঘি, ঘোষপাড়া, আলু ডাঙ্গা, কেতলিপুকুর এই সমস্ত জায়গায় পরিদর্শনে যান বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস । তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার নেতৃত্ব ইফতেখার আহমেদ সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা ।