তাঁকে কি আর কোনও দিন কোর্টে দেখা যাবে না? জবাবে সেরিনা জানালেন, তিনি নিজেই জানেন না।কারও চোখে জল। কেউ বিহ্বল। আর কোর্টের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি। কিছু ক্ষণ আগেই ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার আজলা টমলিয়ানোভিচের কাছে হেরে গিয়েছেন সেরিনা উইলিয়ামস। বিদায়মঞ্চ তৈরি। ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন তাঁর বিদায়ী ভাষণে কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। সেখানেই সেরিনাকে প্রশ্ন করা হল, কোর্টে আবার তাঁকে দেখার কি কোনও সুযোগ রয়েছে? কানায় কানায় পূর্ণ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম তখন স্তব্ধ। দর্শকরা প্রায় সবাই দাঁড়িয়ে পড়েছেন।
হালকা হেসে জবাবে সেরিনা জানালেন, তিনি নিজেই জানেন না। তবে কি সেরিনা এখনই অবসর নিচ্ছেন না? আবার কি র্যাকেট হাতে দেখা যাবে টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকাকে? সবাইকে ধোঁয়াশায় রেখেই কোর্ট ছাড়লেন সেরিনা।খেলা শেষে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সেরিনা। কেঁদে ফেলেন। গ্যালারিতে তখন বসে সেরিনার মা ওরাসেন প্রাইস, স্বামী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। মেয়েকে কাঁদতে দেখে উদ্বিগ্ন দেখাল মাকে। সে সব দেখে কিছু ক্ষণ পরে চোখের জল একটু সামলে নিলেন সেরিনা। মুখে বললেন, ‘‘আনন্দে চোখে জল চলে এসেছে।
’ ফিরে এল পরিচিত হাসি। দীর্ঘ কেরিয়ারের জন্য পরিবারকে পুরো কৃতিত্ব দিলেন সেরিনা।
বললেন, ‘‘আমার পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবার আগে বাবাকে ধন্যবাদ। আমি জানি তুমি দেখছ। আমার পাশে এত বছর ধরে থাকার জন্য পরিবারকে ধন্যবাদ। কয়েক দশক ধরে খেললাম। ভাবতেই পারছি না। আমার বাবা, মার হাত ধরেই সবটা শুরু। ওদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’’ তিনি বলেন, ‘‘যদি ভিনাস না থাকত, তা হলে সেরিনাও হত না। সেরিনার যে অস্তিত্ব রয়েছে, তার এক মাত্র কারণ ভিনাস। আমার দিদি আমার পৃথিবী। আমার স্বামী আম