বলিউডের সিনেমাজগতে আমূল পরিবর্তন এনেছিল সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের জুটি। ১৯৭০ সাল থেকে বক্স অফিসে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে এই জুটি। ১৬ বছর ধরে মোট ২২টি হিন্দি ছবি এবং দু’টি কন্নড় ছবিতে কাজ করেছে এই জুটি।অন্দাজ’, ‘হাতি মেরে সাথী’, ‘সীতা অওর গীতা’, ‘জঞ্জির’, ‘ত্রিশূল’, ‘শোলে’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘বাগবান’-এর মতো ছবির মাধ্যমে দর্শকের মনও জিতেছেন তাঁরা।তবে সমস্যা বেধেছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির কাজ শুরুর সময়। বলিউডের ‘বিগ-বি’র সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাজ করতেন সেলিম ও জাভেদ।
তাই ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে অমিতাভের কাছে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব নিয়ে যান দু’জনে।গল্প শোনার পর আপত্তি জানান অমিতাভ। চিত্রনাট্য অনুযায়ী ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ এমনই এক চরিত্র, যে অদৃশ্য হতে পারে। ফলে পর্দায় তাকে কম ‘দেখা’ যাবে।অমিতাভ তাঁদেরকে জানান, দর্শক বড় পর্দায় অভিনেতাকে দেখার জন্য আসবেন। তাঁকে যদি বেশির ভাগ সময় পর্দায় দেখাই না যায়, তা হলে তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন না।অমিতাভের এই মন্তব্যে ক্ষুণ্ণ হন দু’জনেই।
সেলিম ও জাভেদের মধ্যেও মতান্তর দেখা যায়।জাভেদ জানান, তিনি ভবিষ্যতে আর কখনও অমিতাভের সঙ্গে কাজ করবেন না। তাঁরা দু’জনেই ভেবেছিলেন, পর্দায় অমিতাভকে দেখা না গেলেও তাঁর কণ্ঠস্বরই এই ছবির প্রাণ হয়ে উঠবে। অমিতাভের বাড়িতে হোলির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে সেখানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় জাভেদকে।সেলিম অনুমান করেন, জাভেদ হয়তো তাঁর নামেই দোষ দিয়েছেন। এই ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিন জনের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণে প্রভাব পড়ে।জাভেদের পরিকল্পনা ছিল যে, তাঁরা ছবির চিত্রনাট্য ও গান লিখে একসঙ্গে পরিচালকদের কাছে নিয়ে যাবেন। কিন্তু সেলিমের মনে হয়েছিল, গান লেখার ক্ষেত্রে