তিনি ফুটবলের ভক্ত তবে চলতি বিশ্বকাপ দেখতে তাঁর ইচ্ছা করছে না। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন তিনি মেনে নিতে পারেননি।কারণ কি এই ইচ্ছা না হওয়ার,তিনি ফুটবলের অন্ধ ভক্ত। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপ দেখতে তাঁর একেবারেই ইচ্ছা করছে না।কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন তিনি মেনে নিতে পারেননি। ফলে ফিফার উপর তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ।কারণ, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের মানসিকতা তাঁর অপছন্দের।তাঁর কাছে মোবাইলের মাধ্যমে যৌনতা চেয়ে অনেক ফোন আসে।
বেশির ভাগ ফোন আসে পশ্চিম এশীয় দেশগুলি থেকে। বিশেষত সৌদি আরবে এই ধরনের যৌনতার চাহিদা বেশি বলে দাবি পর্ন তারকার।তিনি খোলাখুলি জানিয়েছেন, কাতার, সৌদি বা পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য দেশের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর আপত্তিকর মনে হয়।এই দেশগুলিতে মেয়েদের প্রতি অবিচার হয়ে চলেছে অবিরত। পুরুষের জন্য সেখানে এক রকম নিয়ম, বাকি সকলের জন্য সেই নিয়মই যায় বদলে।তানিয়ার মতে, মহিলা এবং এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল কোনও দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত ছিল ফিফার। কাতারে মেয়েদের স্বাধীনতা, সমানাধিকার স্বীকৃত নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
৪৩ বছরের তানিয়া জনপ্রিয় ব্রিটিশ মডেল। পর্ন দুনিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তিনি ফুটবলের ভক্ত। লিভারপুলের একনিষ্ঠ সমর্থক। সেখানেই জন্ম তানিয়ার।সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি পর্ন ভিডিয়ো তৈরি করি। যদি ফুটবল ভক্ত হিসাবে বিশ্বকাপ দেখতে আমি কাতারে যেতাম, সেখানে একেবারেই আমাকে ভাল ভাবে থাকতে দেওয়া হত না। আমার কেরিয়ার আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে করি যে, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী আমি কাজ করতে পারছি।’’কাতারে বিশ্বকাপের জন্য ফিফার উপর তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ঠিকই। তবে একই সঙ্গে এই বিশ্বকাপের কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন।এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুল রয়েছে ৬ নম্বরে। বিশ্বকাপের পর ২০২৩ সালে নতুন শুরুর বিষয়ে আশাবাদী তিনি।