শহরাঞ্চলে অথবা শহরতলিতে অনেক এলাকায় রোজকার ব্যবহারের জলে ও পানীয় জলে আয়রনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। পানীয় জলে অতিরিক্ত আয়রন পরিমান উপস্থিত থাকলে আবার ব্যবহারিক জল যেমন স্নানের জল, কাপড়কাচার জল, বাসন মাজার জলে আয়রনের পরিমান বেশি থাকলে সাদা বেসিন, বাথটাব বা হাল্কা রঙের জামাকাপড়ে দাগছোপও পড়ে বেশি। এক্ষেত্রে নিজের স্বাস্থ্য ও গৃহস্থালিকে রক্ষা করার জন্য নানারকম পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
এই প্রতিবেদনে পড়ে নিন বিভিন্ন ধাপে কিভাবে আয়রনের মাত্রা ফিল্টার করবেন জল থেকে।
সাধারনত রোজকার জলে দুইধরনের আয়রন উপস্থিত থাকে, ফেরাস আয়রন এবং ফেরিক আয়রন, যা যথাক্রমে জলের ধাতব স্বাদ ও মরচে হিসেবে জলের লালচে রঙের জন্য দায়ী। ফেরাস আয়রন দূর করার জন্য কিনে নিন স্পেশাল আয়রন জলের ফিল্টার। আবার ফেরিক আয়রনের জন্য আপনার প্রয়োজন মেকানিকাল ওয়াটার ফিল্টার।
স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েতের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন আপনাদের অঞ্চলে জলের প্রকৃতি কিরকম, রোজকার জলে আয়রনের মাত্রা কত ইত্যাদি সাধারন প্রশ্নগুলি। এর মাধ্যমে আপনি সহজে বেছে নিতে পারেন কোন ধরনের ফিল্টার আপনার বাড়ির জন্য প্রয়োজন।
এখন বাজারচলতি অনেক ফিল্টার এসে গেছে যার সাহায্যে সঠিক সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই পানীয় জলের শোধন করতে পারতে। অনেক ওয়াটার পিউরিফায়ার বাজারে আছে যা আর.ও সিস্টেম ব্যবহার করে পানীয় জল শোধন করে আর খুব ফলপ্রসুভাবে জলে আয়রনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
কলের জল ফিল্ট্রেশন সিস্টেম দিয়ে শোধন করার পরেও যদি দেখেন জলের লালচে ভাব কমছে না এবং স্নানের সময় সেই জলের ব্যবহার করার জন্য চুল ও ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে শাওয়ার ফিল্টার কিনে দেখতে পারেন। এই জাতীয় ফিলটারের কাজ হল স্নানের সময় আয়রন ফিল্টার করে নেওয়া, কিন্তু এটি অবশ্যই একটি খরচসাপেক্ষ।