উত্তম কুমার পরবর্তী সময়ে টলিউডকে (Tollywood) মুখ থুবড়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল বাণিজ্যিক সিনেমাগুলি। তখন ফ্যামিলি ড্রামা নির্ভর ছবিগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রসেনজিৎই ছিলেন নায়কের মুখ। একটা সময় তিনিই হয়ে ওঠেন খোদ ইন্ডাস্ট্রি।ছবির পর্দায় প্রসেনজিত-ঋতুপর্ণার জুটি সুপার হিট হলেও প্রসেনজিৎ কিন্তু বিয়ে করেছিলেন তার ছোটবেলার বান্ধবী তথা টলিউডের আরেক সুন্দরী দেবশ্রী রায়কে।
ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘১৯ শে এপ্রিল’ ছবিতে অভিনয় করে দেবশ্রী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ইগো দানা বাঁধতে শুরু করে। প্রসেনজিৎ দেবশ্রীকে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেওয়ার কথা বলেন। এমনকি সন্তানধারণের জন্য চাপ দিতেন বলেও শোনা যায়।অতঃপর হল ডিভোর্স।দেবশ্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর পরবর্তী দিনে তিনি ক্রমে অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা বিয়ে করেন।প্রসেনজিৎ এবং অপর্ণার মেয়ে প্রেরণার জন্মের পরই আচমকা গল্পে এল টুইস্ট।খোদ ইন্ডাস্ট্রি বুম্বাদা আচমকাই টলিউডের নবাগতা অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমে পড়ে গেলেন।
অপর্ণা ছিলেন দৃঢ়চেতা, আত্মসম্মানী। তিনি স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিয়ে এক ছাদের তলায় থাকতে রাজি হলেন না। কাজেই প্রসেনজিতের দ্বিতীয় বিয়েটাও ভেঙে গেল। এদিকে দ্বিতীয়বার ডিভোর্সের পর অর্পিতাকে বিয়ে করে নেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিকে বিয়ে করার পর অর্পিতা অভিনয় জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে ছেলে বড় হওয়ার পর তিনি হালফিলে আবার অভিনয়ে ফিরেছেন। আপাতত তৃতীয় বিয়েতে স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে সুখেই রয়েছেন প্রসেনজিৎ।
হয়তো তিনি চাইতেন তার বউ(wife) তার সংসার সামলাক, বাচ্চা ভালোভাবে মানুষ করুক তার হয়তো তিনি বাধা দিতেন ।