জঙ্গিপারার আত্রা কালি মন্দিরটি স্থানীয় দের কাছে খুবই জাগ্রত। কালী পুজোর আগে কালী ঠাকুর চুরি। তাও রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে।ঠাকুর চুরি হয়ে যাওয়াতে বিষাদের ছায়া নেমে ছিল গোটা গ্রামের মধ্যে। পুলিশেও খবর দেওয়া হয় চুরির। ওই মন্দিরের নাম দিয়েই জায়গা ও রাস্তার নামকরণ।জানলে অবাক হবেন যে ,ঠাকুরের অসীম কৃপা চুরি হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় উদ্ধার হলো।
স্থানীয় একটি শ্মশানের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার কিছু বাসিন্দা।তার পরই ঠাকুরকে নিয়ে আসা হয়। জাঙ্গিপাড়া আত্রা কালী মন্দির। মুখার্জি বাড়ির এই কালীমন্দিরের নাম দিয়েই গ্রামের নাম ও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। এই মন্দিরের অধিষ্ঠিত দেবী হলেন মা কালি। কালো পাথরের এই মূর্তিটি শতাব্দী প্রাচীন। কথিত ইতিহাস রয়েছে এই ঠাকুরের সঙ্গে। ঠাকুরের পুরোহিত জানান, প্রায় দেড়শ বছর আগে জাঙ্গিপাড়ারই এক পার্শ্ববর্তী গ্রাম দোগাছিয়ায় পুকুর খননের কাজ চলছিল।
পুকুর খুঁড়তে খুঁড়তে মাটির তোলা থেকে বেরিয়ে আসে এই কালী মূর্তি টি। মূর্তির দৈর্ঘ প্রায় দেড় ফুট। পুরো মূর্তিটি তৈরি একটি পাথর খোদাই করে। বহু প্রাচীন এই কালীমূর্তিটির চোরা বাজারে বহু মূল্য বলেই চুরি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ,সকাল বেলা স্থানীয় বাসিন্দাদেরই শোরগোলে জানা যায় মন্দির থেকে চুরি হয়েছে। মন্দিরের মধ্যে রাখা অন্য সমস্ত কিছু ছেড়ে চোরে চুরি করে নিয়ে যায় শুধুমাত্র কালী মূর্তিটি। ঘটনাটি ঘটে চলতি মাসের ৭ তারিখে।
স্থানীয় ওই মন্দিরের পুরোহিত জানান, কেন চোরে সবকিছু ছেড়ে মূর্তিটি চুরি করে নিয়ে গেছে তা তারা জানেন না। তবে এর আগেও একবার মন্দিরে চুরি হয়েছিল।ঠাকুরের গয়না ও প্রণামি বাক্স নিয়ে পালিয়েছিল চোর। দিন দশকের মধ্যেই ঠাকুরের গয়না পাওয়া যায় একটি পুকুরের ধার থেকে। তারা আশাবাদী ছিলেন চোর যতই চুরি করে নিয়ে যাক না কেন মা আবার ঠিক ফেরত আসবে।
এবং ঘটলও তাই চুরি যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় গোটা দস্তুর কালী ঠাকুরটি পাওয়া গেল স্থানীয় একটি শ্মশান থেকে। মঙ্গলবার ভোরে আত্রা কালী মন্দিরের থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি শ্মশানের মধ্যে ঠাকুরটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কিছু মানুষ। তারপরেই খবর দেওয়া হয় মুখার্জি পরিবারকে। তারা এসে মঙ্গলবার সকালেই ঠাকুরটিকে নিয়ে যান বাড়িতে।