শনিবার সকালে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ২৫ বছরের এক যুবক। তিনি পেশায় আইনজীবী বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। গত মাসে এই সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক যুবক। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিদ্যাসাগর সেতুতে বাইকে করে যাচ্ছিলেন মহম্মদ আরিফ আনসারি নামে এক যুবক। সেতুতে ওঠার পর বাইক থামান তিনি। তার পরই সেতুর ধারে গিয়ে রেলিং ধরে কিছু ক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। যুবককে এই অবস্থায় দেখে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হেস্টিংস থানার পুলিশ।ওই যুবককে বোঝানোর চেষ্টা চালায় পুলিশ। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হতে হয় পুলিশকর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যেই আচমকা সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই যুবক। তাঁর খোঁজে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর এলাকায়। ৩ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। যুবকের ২ বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায় স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে থাকতেন ওই যুবক। ঝাঁপ দেওয়ার আগে চিত্কার করে যুবককে বলতে শোনা যায় যে, তাঁর বাড়িতে যেন খবর দেওয়া হয়।গত মাসে একই কায়দায় দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন অরিজিত্ দে নামে ২৬ বছরের এক যুবক। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
আজকের ঘটনার ক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে যে,শুক্রবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে যুবকের ঝামেলা বেধেছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।পারিবারিক অশান্তির কারণেই ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।